ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইট তৈরি করা আর সেখান থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা এখন জনপ্রিয় কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেট জগতে ওয়েবসাইটের জন্য বিজ্ঞাপন সরবরাহকারী কোম্পানিরও অভাব নেই। তবে তাদের মধ্যে একসময় শীর্ষে ছিল গুগল অ্যাডসেন্স যদিও ইতিমধ্যেই তারা তাদের জনপ্রিয়তা কিছুটা হারিয়েছে। কেননা আরো আকর্ষণীয় ও ক্লিক পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়া টুলসের সাহায্যে অ্যাডসেন্সের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানরা আয়ের আশায় ওয়েবসাইট তৈরি করা ওয়েবমাস্টারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
ইন্টারনেট অ্যাড-মার্কেটপ্লেসের মধ্যে অ্যাডব্রাইটের মতোই আরেকটি কোম্পানির নাম হচ্ছে বিডভার্টাইজার। বিডভার্টাইজারের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য অ্যাডসেন্সকেও ছাড়িয়ে যায়। আসুন জেনে নিই যে কারণে বিডভার্টাইজার ব্যবহার যুক্তিসঙ্গত।
অ্যাডসেন্স ব্যবহারকারীরা নিশ্চয়ই জানেন, একটি পেজে আপনি সর্বোচ্চ তিনটি অ্যাড ইউনিট বসাতে পারবেন। কিন্তু কন্টেন্টপূর্ণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লম্বা পেজের জন্য তিনটি ইউনিট কি খুবই কম নয়? নিশ্চয়ই কম। আর এ জন্যই বিডভার্টাইজার আপনাকে একটি পেজে ইচ্ছামতো ইউনিট বসানোর স্বাধীনতা দেয়। অর্থাৎ আপনি আপনার পেজে যতোগুলো ইউনিট ইচ্ছে, ঠিক ততোগুলোই বসাতে পারবেন। যাদের ওয়েবসাইটে স্বাভাবিকের চেয়ে লম্বা পৃষ্ঠা আছে, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ সুবিধা।
অ্যাডসেন্স মাসিক সর্বনিম্ন ১০০ ডলার আয় হওয়ার পর আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে থাকে। কিন্তু বিডভার্টাইজারে আপনি মাত্র ৫০ ডলার আয় করতে পারলেই পেমেন্ট রিলিজ করে দেয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ পেমেন্ট রিলিজ হওয়ার জন্য বিডভার্টাইজারে আপনার সর্বনিম্ন আয় হতে হবে মাত্র ৫০ ডলার।
অ্যাডসেন্স ব্যবহারকারীরা অনেক আগে থেকেই দাবি করে আসছেন যাতে অ্যাডসেন্সের পেমেন্ট পে-পালের মাধ্যমে দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাডসেন্সের পেমেন্ট এখনো পে-পালের মাধ্যমে দেয়ার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। পে-পালের অন্যতম সুবিধা হলো সর্বনিম্ন আয় হওয়া মাত্রই আপনার পে-পাল একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হবে। বিডভার্টাইজারের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এই যে, এরা পে-পালের মাধ্যমে পেমেন্ট প্রদান করে থাকে। আরো মজার ব্যাপার হলো, পে-পালের মাধ্যমে পেমেন্ট নিলে সর্বনিম্ন ১০ ডলার আয় করতে পারলেই হবে। সেই ১০ ডলার আপনার পে-পাল একাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে।
অ্যাডসেন্স যারা ব্যবহার করেন তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, অ্যাডসেন্সের অ্যাড ইউনিটগুলো নির্দিষ্ট কিছু আকারের হয়ে থাকে। আপনি শুধু সেই নির্দিষ্ট কিছু সাইজ বা আকারের ইউনিটগুলো থেকে নির্বাচন করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে রঙ, লেখার রঙ, ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারবেন। কিন্তু বিডভার্টাইজারের মাধ্যমে আপনি কাস্টম অ্যাড ইউনিট তৈরি করতে পারবেন। অর্থাৎ, ইউনিটে প্রদর্শিত অ্যাডের ফন্ট স্টাইল, কালার, সাইজ ইত্যাদি নিজের ইচ্ছামতো দিয়ে তৈরি করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অ্যাড ইউনিট।
আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনটিতে ক্লিকের বিনিময়ে আপনি কতো ডলার আয় করছেন তা কি আপনি জানেন? অ্যাডসেন্স এ জাতীয় তথ্যগুলো আপনার কাছে কখনোই প্রকাশ করে না। কিন্তু বিডভার্টাইজার ব্যবহার করলে আপনি আপনার কোনো সাইটের কোনো ইউনিটের ক্লিক-বিড বা প্রতি ক্লিকের দর কতো তা জানতে পারবেন।
এসব ছাড়াও আরো বেশ কিছু উপকারী বৈশিষ্ট্য আছে বিডভার্টাইজারের যা আপনি ব্যবহারের সময় নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন।



সাইটির লিংকঃ http://www.bidvertiser.com/

ঠিকানায় গিয়ে নিজের সাইটে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য পাবলিশার বা প্রকাশক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করুন। পরে যে কোনো সময় লগইন করে অ্যাড নিউ বিডভার্টাইজারে ক্লিক করে নতুন অ্যাড ইউনিট ক্লিক করতে পারবেন। তবে বিডভার্টাইজারে প্রতিটি ইউনিট তৈরি সময় যে সাইটে ব্যবহার করবেন সে সাইটের ঠিকানা দিয়ে নিতে হবে। একই সাইটের ঠিকানায় দুটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। আর এক সাইটের অ্যাড ইউনিটও অন্য সাইটে ব্যবহার করা যাবে না।

0 comments:

Post a Comment

 
Top